কাশীনাথ ভট্টাচার্য
কলকাতা, ২৭ সেপ্টেম্বর
এমবিএসজি – ১ (বুমো ৬৭)
বেঙ্গালুরু – ০
ঘরের মাঠে টানা দুটি ম্যাচ জিতে আইএসএল-এ আত্মবিশ্বাসী শুরু মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট-এর। কেরালা ব্লাস্টার্সের পর দ্বিতীয় অ্যাওয়ে ম্যাচেও হার দিয়ে শুরু সুনীল ছেত্রীহীন বেঙ্গালুরু এফসি-র। হাংঝৌতে যে খবরে নিশ্চিতভাবেই মন খারাপ হবে ভারতীয় অধিনায়কের।
বহু বছর আগে মোরিনিও ইন্তার মিলানে রাইট ব্যাকে খেলিয়েছিলেন স্যামুয়েল এতো-কে, বার্সেলোনার বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে। মোরিনিওর অবশ্য লক্ষ্য ছিল অ্যাওয়ে ম্যাচে কাম্প নু্-তে রক্ষণাত্মক খেলা। বুধবার ঘরের মাঠ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে এমবিএসজি-র স্পেনীয় কোচ খুয়ান ফেরানদো শুরু করেছিলেন তিন ডিফেন্ডারে। আর ফরোয়ার্ড মনবীর মাঝমাঠের ডানপাশ থেকে প্রয়োজনে নীচে নেমে রাইট ব্যাক হয়ে যাচ্ছিলেন! তবে, ফেরানদোর এই ভাবনা ইতিবাচক, মোরিনিওর মতো যেন-তেন-প্রকারেণ রক্ষণে মনোনিবেশ নয়।
বরঞ্চ, সেই দোষে দুষ্ট ছিলেন বেঙ্গালুরুর ইংরেজ কোচ সাইমন গ্রেসন। শুরুর ম্যাচ হেরে আবারও বাইরে খেলতে এসে রক্ষণে ভিড় জমানোয় মন দিয়েছিলেন। ফলে যা হয়, দুর্গ সামালাতে ব্যস্ত থাকতে থাকতে একটা ভুলে রক্ষণ খুলে যায়। যেমন হয়েছিল গোলের সময়। মনবীর ডানদিক থেকে বল তুলেছিলেন। বক্সের মাথায় বল পেয়ে কামিন্স দেখেশুনে বাড়িয়ে দেন বাঁদিক থেকে এগিয়ে আসা উগো বুমোর দিকে। ডানপায়ের শটে গুরপ্রীত সিং-কে প্রথম পোস্টে পরাস্ত করেন ফরাসি ফুটবলার, ৬৭ মিনিটে। ম্যাচের সেরাও তিনিই। এটিকেএমবি বা এমবিএসজি, কারও বিরুদ্ধেই আট ম্যাচে গোল আটকাতে পারল না বেঙ্গালুরু।
প্রথম এগারয় তিন পরিবর্তন করেছিলেন ফেরানদো। ব্রেন্ডন হামিল, আশিস রাই ও গ্ল্যান মার্টিনসের জায়গায় যথাক্রমে বুমো, মনবীর ও অনিরুধ থাপা। তিনজনই মর্যাদা রাখলেন কোচের সিদ্ধান্তের। বেঙ্গালুরু তেমন আক্রমণে আসেনি বলে তিন ডিফেন্ডারে খেলার সিদ্ধান্তও কাজে লেগে গেল। বেঙ্গালুরুর আক্রমণ বলতে সেই বারো মিনিটে রোহিতের কোনওরকমে পায়ে ঠেকানো বল যা গোললাইন থেকে ফিরিয়েছিলেন অনিরুধ।
তুলনায় অবশ্যই আক্রমণাত্মক এমবিএসজি। কিন্তু তবুও, গোলমুখ খুলে সরাসরি গুরপ্রীতকে সমস্যায় ফেলার মতো মুহূর্ত তৈরি হয়নি বিশেষ। প্রায় ৬৭ শতাংশ সময় বলের দখল রাখার ফলে বল বেশিরভাগ সময়ই ঘোরাফেরা করল বেঙ্গালুরুর অর্ধে। লাল কার্ডও দুবার দেখলেন দুই বেঙ্গালুরুর ফুটবলার সুরেশ ওয়াংজাম (৭৫ মিনিট, দ্বিতীয় হলুদ) ও রোশন সিং (৯২ মিনিট)। দুটি সিদ্ধান্তই যথাযথ। কামিন্সকে আটকাতে রোশনই ছিলেন শেষ ফুটবলার, তাই লাল কার্ড দেখাতেই হত রেফারি হরিশ কুণ্ডুকে।
মাঝে এএফসি কাপের ম্যাচ আছে বসুন্ধরা কিংসের বিরুদ্ধে, যুবভারতীতেই। আইএসএল-এ এমবিএসজি-র পরের ম্যাচ অবশ্য অ্যাওয়ে। আগামী ৭ অক্টোবর চেন্নাইয়িন এফসি-র বিরুদ্ধে।
এমবিএসজি: বিশাল কাইথ; আনোয়ার আলি (গ্ল্যান মার্টিনস ৭১), একতর ইউস্তে স্পেন, শুভাশিস বসু; অনিরুধ থাপা, সাহাল আবদুল সামাদ (কিয়ান নাসিরি ৮২), উগো বুমো ফ্রান্স (আরমান্দো সাদিকু, আলবানিয়া ৭১), লিস্টন কোলাসো (আশিস রাই ৭৬); ডিমিট্রি পেট্রাটোস, অস্ট্রেলিয়া, জ্যাসন কামিনস অস্ট্রেলিয়া (ব্রেন্ডন হ্যামিল, অস্ট্রেলিয়া ৭১), মনবীর সিং
রেফারি – হরিশ কুণ্ডু