ক্রিকেট ইয়ারবুকের ২৫তম সংস্করণ প্রকাশিত সন্দীপ পাটিলের হাতে

রাইট স্পোর্টস ওয়েব ডেস্ক

মুম্বই থেকে এসে আরটি নেটওয়ার্ক সলিউশনস-এর ক্রিকেট ইয়ারবুক ২০২৩ প্রকাশ করলেন সন্দীপ পাটিল। কলকাতার অভিজাত হোটেলে ভরা সভাগৃহে। অভিনন্দন জানালেন আরটি নেটওয়ার্ক সলিউশনস-এর ক্রিকেট ইয়ারবুক ২০২৩-এর প্রধান উপদেষ্টা দেবাশিস দত্ত, সম্পাদক তন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে। ‘যে কোনও বই টানা ২৫ বছর ধরে প্রকাশিত হচ্ছে মানেই পাঠকরা গ্রহণ করেছেন সন্তুষ্টচিত্তে। বইপ্রকাশের সমস্যাগুলো খুব ভাল করে জানি। তাই বুঝতে অসুবিধা নেই, কতটা পরিশ্রম থাকে এমন একটি বইপ্রস্তুতিতে। সেটাও টানা ২৫ বছর ধরে করে যাওয়া নিঃসন্দেহে অভিনন্দনযোগ্য’, বললেন তিরাশি বিশ্বকাপজয়ী দলের অন্যতম সদস্য পাটিল।

আর জানালেন, তিরাশি বিশ্বজয়ের জন্য অধিনায়ক কপিলদেবের অপরাজিত ১৭৫ যতটা গুরুত্বপূর্ণ কারণ ততটাই গুরুত্ব দাবি করে অখ্যাত জিম্বাবোয়ের কাছে শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়ার হারও। ‘জিম্বাবোয়ে সেবার অস্ট্রেলিয়াকে না হারালে আমরা সেমিফাইনালে যেতে পারতাম না, ইতিহাসও লেখা হত না হয়ত’, সহজ স্বীকারোক্তি তাঁর।

বিশ্বজয়ী দলের সদস্যের কথায় প্রেক্ষাগৃহ হেসে উঠেছিল শুনে যে, তিরাশির দলকে একসূত্রে বাঁধতে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করেছিল অধিনায়ক কপিলদেবের ইংরেজিতে টিমমিটিং! ‘জানি না কপিল কেন ইংরেজিতে বলত! তবে, বিশ্বকাপের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত করে গিয়েছিল। ফলে যা হত, ওর বলা শেষ হলেই আমরা জড়ো হতাম সুনীলের কাছে, ক্যাপস কী বলেছে বুঝতে! আমরা এখনও মাঝেমাঝেই দেখা করি। আর ক্যাপসকে বলি, ও কী বলত তখন আমাদের বোঝাতে! কিন্তু সত্যিই বলছি, হাসিঠাট্টায় সাজঘরের পরিবেশটা এতটাই ভাল ছিল যে, পরিবার হয়ে উঠেছিলাম আমরা। এখনও সেই সম্পর্কই আছে আমাদের।’

জাতীয় দলে খেলেছেন সুনীল গাভাসকার এবং কপিলদেবের নেতৃত্বে। সাধারণত, দুই কিংবদন্তির মধ্যে তুলনায় যেতে চান না কেউই। ব্যাটসম্যান পাটিলের মতোই অকুতোভয় বিশেষজ্ঞ পাটিলও। ‘সুনীল রক্ষণাত্মক অধিনায়ক ছিল, কপিল আক্রমণাত্মক। পার্থক্য সেটাই।’

জীবনে একটিই সিনেমা করেছিলেন, ‘কভি অজনবি থে’। ‘প্রযোজকরা আর ঝুঁকি নেয়নি, না হলে আমি তো এখনও চাই সিনেমার পর্দায় নিয়মিত জায়গা পেতে!’ সেই দুঃখ ভুলেছিলেন যখন ছেলে চিরাগকে ‘তিরাশি’ ছবির জন্য পরিচালক কবীর খান ডেকে পাঠিয়েছিলেন। ‘অনেকেরই ধারণা আমিই কবীরকে বলেছিলাম। একেবারেই ভুল। কবীর নিজেই ডেকে পাঠিয়েছিল। এবং চিরাগকে পছন্দ হওয়ার পর ছেলে যখন বাড়ি এসে আমাদের বলেছিল, আমরাও খুবই আনন্দ পেয়েছিলাম। বাবা হিসাবে এর চেয়ে বড় গর্ব আর কী হতে পারে যদি ছেলে সিনেমার পর্দায় বাবার ভূমিকায় অভিনয় করে?’

হাসতে হাসতে জানাতে ভোলেননি পাটিল, যেটুকু বাংলা শিখেছিলেন বা বুঝতে পারেন সেটাও ওই সিনেমার কারণেই। ‘কভি অজনবি থে’ সিনেমায় যে তাঁর নায়িকা ছিলেন দেবশ্রী রায়!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *