তৃতীয় হয়ে প্লে অফ ঘরের মাঠেই খেলবে এটিকেএমবি

ইস্টবেঙ্গল – ০ এটিকে মোহনবাগান – ২

                              (স্লাভকো ৬৮, পেট্রাটোস ৯০)

কাশীনাথ ভট্টাচার্য

কলকাতা ● ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আইএসএল-এ ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে টানা সপ্তম জয় এটিকে মোহনবাগানের। তৃতীয় স্থানে শেষ করল এটিকেএমবি। তাই প্লে অফে ঘরের মাঠে ষষ্ঠ স্থানে থাকা ওডিশার বিরুদ্ধে খেলবে যুবভারতীতেই।

অন্য দিকে হেরে দশম স্থানে আইএসএল শেষ করল ইস্টবেঙ্গল। শেষ থেকে দ্বিতীয়, গতবারের চেয়ে একধাপ ওপরে। সান্ত্বনা, আইএসএল-এ এখনও অবনমন নেই!

এটিকেএমবি জিতল দাপটেই। প্রথমার্ধ গোলশূন্য। সুযোগ বলতে ১৮ গজের বক্সের ঠিক বাইরেই ফ্রি কিক পেয়েছিল এটিকেএমবি। অস্ট্রেলিয়ার ডিমিট্রি পেট্রাটোস জোরালো শট নিলেও বল উড়িয়ে দিলেন বারের ওপর দিয়ে। কিন্তু বল-পজেশন তো বটেই, আক্রমণে ওঠার চেষ্টাও বেশি ছিল। ইস্টবেঙ্গল অন্যান্য ম্যাচগুলোর মতোই নিজেদের গুছিয়ে নেওয়ার চেষ্টায় ছিল শেষ ম্যাচেও। সেই চেষ্টা করতে করতেই দ্বিতীয়ার্ধে দুটি গোল খেয়ে অভিযান শেষ, আরএ একবার না মনে রাখার মতোই।

এটিকেএমবি-র প্রথম গোল ডিফেন্ডার স্লাভকো দামিয়ানোভিচের। কর্নার থেকে বল এসেছিল বক্সে। মনবীর সিং-এর ব্যাকহিল, উঁচু হয়ে এসেছিল, হেড করেছিলেন সার্বীয় স্লাভকো। বল পোস্টে লেগে গোললাইন বরাবর ফিরে আসে এবং স্লাভকো সহজেই গোলে ঠেলে দেন। দ্বিতীয় গোল পরিবর্তদের তৈরি। পুইতিয়ার থ্রু থেকে ফাঁকায় পেয়ে গিয়েছিলেন কিয়ান নাসরি। চেষ্টা করেছিলেন গোলে রাখতে। কমলজিৎ বাঁচিয়ে দেন। পেট্রাটোস ছিলেন কাছেই। ফিরতি বল গোলে পাঠাতে বিন্দুমাত্র ভাবতে হয়নি।

এটিকেএমবি-র আরও একটি ভাল মরসুম, লিগের ভিত্তিতে। প্রতিবারই চ্যাম্পিয়ন কোনও দল হয় না। কিন্তু তৃতীয় স্থানে থাকতে পারাও কম কৃতিত্বের নয়। স্পেনীয় খুয়ান ফেরান্দোর পছন্দ ছোট পাসে আক্রমণাত্মক ফুটবল। দায়িত্ব নেওয়ার পর তাঁর দলে রয় কৃষ্ণ এবং ডেভিড উইলিয়ামসকে না রাখা নিয়ে সমালোচিত হতে হয়েছিল। নিজের মতো অটল থেকে অন্তত প্লে অফে নিয়ে এসেছেন দলকে। ঘরের মাঠে প্রথম ছয়ের শেষ দল ওডিশার বিরুদ্ধে প্লে অফ জিতলে সেমিফাইনালে যাওয়ার সম্ভাবনাও প্রবল। নকআউটে পৌঁছনোর অর্থ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার রাস্তা এখনও খোলা। সুতরাং ফেরান্দো আপাতত বাড়তি আত্মবিশ্বাস নিয়েই নামবেন প্লে অফে।  

ইস্টবেঙ্গলের মরসুম একই রকম। প্রথমার্ধে ভাল খেলেছে কয়েকটি ম্যাচে। কখনও কখনও এগিয়েও থেকেছে। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে, বিশেষ করে ম্যাচের শেষ দিকে, গোল খেয়ে হারতে হয়েছে বারবার। কুড়িটি ম্যাচ খেলে ১৩ হার! স্টিফেন কনস্টান্টাইনের ভারতে প্রথম ক্লাব মরসুম থেকে গেল কালো দাগ হিসাবেই।

সরকারি হিসাব বলল, ষাট হাজারের বেশি দর্শক ছিলেন মাঠে। সংখ্যাটা আসলে হাজার পঁয়তাল্লিশের বেশি কোনও মতেই নয়। তবে, আইএসএল-এ এই গণনাও স্বাভাবিকই!

ইস্টবেঙ্গল: কমলজিৎ সিং, সার্থক গোলুই (মহঃ রাকিপ ৮০), লালছুঙনুঙ্গা, চারালামবোস কিরিয়াকু, জেরি লালরিনজুয়ালা; সুহের বড়াক্কাপিডিকা (সুমিত পাসি ৮০) , আলেকজান্দ্রে মোনতেরিও দে লিমা (জোর্ডান ওডোহার্টি ৮৭), মহ্ঃ মোবাশির রহমান, নাওরেম মহেশ সিং, জেক মারিও জার্ভিস, ক্লেইতোন অগুস্তো ওলিবিয়েইরা সিলভা

এটিকে মোহনবাগান: বিশাল কাইথ; আশিস রাই, প্রীতম কোটাল, স্লাভকো দামিয়ানোভিচ, শুভাশিস বসু; ফেদেরিকো গায়েগো, গ্ল্যান মার্টিনস (পুইতিয়া ৬৪) ; মনবীর সিং (লিস্টন কোলাসো ৮০), উগো বুমো (কিয়ান নাসরি ৮৭), আশিক কুরুনিয়ান; ডিমিট্রিওস পেট্রাটোস

রেফারি – ক্রিস্টাল জন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *